দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৬০ হাজারে। এক্ষেত্রে নারীর চেয়ে বেশি বেড়েছে পুরুষ বেকারের সংখ্যা। এছাড়া দেশের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
বছরের শুরুতে বেকার মানুষের কম থাকলেও বছর শেষে ধারবাহিকভাবে বেড়েছে। এতে বছরের ব্যবধানে দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার। এই সময়ে কৃষি, শিল্প ও সেবা সবখাতেই কমেছে কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপে এসেব তথ্য ওঠে এসেছে এসব তথ্য। রোববার চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিএস। প্রতিবেদনে দেখা যায়, বর্তমানে দেশে ২৬ লাখ ৬০ হাজার বেকার আছেন। ২০২৩ সালের এই সময়ে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৯০ হাজার। এর মানে গত বছরের তুলনায় এখন দেশে বেকারের সংখ্যা বেশি।
আইএলও কর্তৃক প্রণীত ১৩তম এবং ১৯তম আইসিএলএস এ কর্মে নিয়োজিত প্রাক্কলনে পার্থক্য রয়েছে। সাধারণত যারা শুধুমাত্র নিজেদের ভোগের জন্য কাজ করেন তাদেরকে আইএলওর ১৩তম গাইডলাইন হিসেবে কর্মে নিয়োজিত হিসেব করা হয়, আর যারা মজুরি বা মুনাফার জন্য কাজ করেন তাদেরকে আইএলও’ র ১৯তম গাইডলাইন হিসেবে কর্মে নিয়োজিত হিসেব করা হয়।
বিবিএসের ১৯তম আইসিএলএস হিসাবে, ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৬০ হাজারে। আর আগের গাইডলাইন অনুযায়ি, প্রথম প্রান্তিকে বেকার ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার। তিন মাস পর দ্বিতীয় প্রান্তিকে বেকার বেড়ে হয় ২৬ লাখ ৪০ হাজার। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ২০ হাজার বেকার। আর ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশে বেকার মানুষ ছিল ২৪ লাখ ৯০ হাজার। সেই হিসেবে বছরের ব্যবধানে বেকার বেড়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার।
তৃতীয় প্রান্তিকের হিসেবে অনুযায়ি, দেশে নারী বেকারের চেয়ে পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। বিবিএস হিসাব অনুসারে, গত সেপ্টেম্বর মাস শেষে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৯০ হাজার, আর নারী বেকার ৮ লাখ ৭০ হাজার। ২০২৩ সালের একই সময়ে পুরুষ বেকার ১৬ লাখ ৪০ হাজার, আর নারী বেকার ছিল ৮ লাখ ৫০ হাজা। সেই হিসেবে পুরুষ বেকার বেড়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার, নারী বেড়েছে ২০ হাজার।