1. news@www.voiceofnews.net : উৎসবের আলো : উৎসবের আলো
  2. info@www.voiceofnews.net : দৈনিক উৎসবের আলো : দৈনিক উৎসবের আলো দৈনিক উৎসবের আলো
  3. info@www.voiceofnews.net : voiceofnews.net :
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ন

গুগলের নতুন প্রসেসর উইলো

ভয়েস অব নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারকম্পিউটারের যে কাজ করতে লাগবে ১০ সেপ্টিলিয়ন বছর, মাত্র পাঁচ মিনিটে সেটি করতে সক্ষম গুগলের নতুন কোয়ান্টাম চিপ ‘উইলো’। এতে আছে ১০৫টি কিউবিট। কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তথ্যের ভুলভ্রান্তি। গুগলের গবেষকদের দাবি, উইলো প্রসেসরে তাঁরা এ সমস্যাটি কাটিয়ে উঠেছেন।

 

বাণিজ্যিক পর্যায়ে কোয়ান্টাম কম্পিউটার ব্যবহার শুরু হবে ২০৩০ সালের মধ্যে। প্রযুক্তিটি নিয়ে গুগলের পাশাপাশি কাজ করছে আইবিএম ও মাইক্রোসফট। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কোয়ান্টাম চিপের নির্মাতা আইবিএম। তাদের ‘কনডর’ চিপের ক্ষমতা এক হাজার ১২১ কিউবিট।

তবে গুগলের উইলো তার চেয়েও নির্ভুলভাবে তথ্য প্রসেস করতে সক্ষম। বর্তমান কোয়ান্টাম প্রসেসরগুলো একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে না। গুগল উইলো বিশ্বের প্রথম কোয়ান্টাম চিপ, যা ক্লাস্টার হিসেবে কাজ করতে সক্ষম। ফলে কোয়ান্টাম সুপারকম্পিউটার তৈরিতে সবাইকে পেছনে ফেলে এক ধাপ এগিয়ে গেছে গুগল।

মূলধারার প্রতিটি কম্পিউটার কাজ করে ট্রানজিস্টরের মধ্যে ইলেকট্রনের প্রবাহের ওপর ভিত্তি করে। কোয়ান্টাম কম্পিউটার তার বদলে ব্যবহার করে কোনো বস্তুর কোয়ান্টাম স্টেট পরিবর্তন কাজে লাগিয়ে। ফলে প্রথাগত কম্পিউটার বাইনারি ডাটায় সীমাবদ্ধ হলেও কোয়ান্টাম কম্পিউটার তা নয়। বড় ডাটাসেট নিয়ে কাজ করায় বাইনারি সিস্টেমের যেসব সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সেটি কোয়ান্টাম কম্পিউটারের নেই। তথ্য বিশ্লেষণভিত্তিক কাজে কোয়ান্টাম কম্পিউটার ব্যবহার শুরু হলে প্রযুক্তি বিশ্বে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গুগলের নতুন প্রসেসরটি বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে দ্রুত নতুন সব ওষুধ ও টিকা তৈরিতে সাহায্য করবে। লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল বা এলএলএম নিয়ে গবেষণায়ও কোয়ান্টাম চিপ কাজে লাগানো হবে। ফলে ভবিষ্যতের এআই আরো গভীরভাবে চিন্তা করতে পারবে। অন্যদিকে কোয়ান্টাম চিপের খবরে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত। নেটওয়ার্ক তথা ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান যাতে নিরাপদ থাকে অথবা গোপনীয় তথ্য যাতে চুরি গেলেও সেটি কাজে লাগানো না যায় সে জন্য ব্যবহৃত হয় এনক্রিপশন। বর্তমানে এইএস-২৫৬ প্রযুক্তির এনক্রিপশন সিস্টেম বহুল ব্যবহৃত।

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারকম্পিউটারেরও এনক্রিপশন ভাঙতে লেগে যাবে কয়েক শতাব্দী। কোয়ান্টাম চিপ কাজে লাগিয়ে তা করা যাবে কয়েক মিনিটে। যদি কোয়ান্টাম কম্পিউটার সহজলভ্য হয়ে ওঠে তাহলে তথ্য নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়বে বলেই তাঁদের ধারণা। যদিও গুগল বলছে, তাদের চিপ এ ধরনের কাজের জন্য তৈরি করা হয়নি। অচিরেই গুগলের জেমিনি এআই চালাতে উইলো চিপ ব্যবহৃত হতে পারে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট