পুরো স্নাতক জীবনের প্রতিটি সেমিস্টারে সিজিপিএ ৪ পাওয়াটা মুখের কথা নয়। একটা কোর্সে এদিক-ওদিক হলেও আর এমন ফলাফল হতো না। এই অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন আচার্য স্বর্ণপদক। কেমন ছিল এই অনুভূতি? কাজী মোসাদ্দেকুর বললেন, ‘অনেক খুশি। মা-বাবার জন্য বেশি ভালো লাগছে। তাঁরা সব সময় চাইতেন, আমিও একদিন এ রকম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পুরস্কার পাই।
সেই প্রত্যাশা থেকেই ভালো করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। স্বর্ণপদক পাওয়ার কথা যেদিন প্রথম জানলাম, চার বছরের পরিশ্রমকে সার্থক মনে হয়েছে। মা-বাবা খুশিতে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।’
মেক্সট বৃত্তি নিয়ে বর্তমানে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে পড়ছেন এই মেধাবী তরুণ। তবে এটাই তাঁর প্রথম জাপান সফর না। বাবার কাজের সুবাদে আট মাস বয়সেই এ দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। গ্রেড ১ পর্যন্ত সেখানকার স্কুলে পড়েছেন। তাই দেশে ফিরে বাংলা বিষয়ে ভালো করতে একটু বেগ পেতে হয়েছিল। তবু প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেছেন হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এই প্রাক্তন। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়েও সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করেছেন।
কিন্তু এই সাফল্যের রহস্য কী? কাজী মোসাদ্দেকুরের সরল উত্তর, ‘নিয়মিত পড়া।’ তিনি বলেন, ‘কোনো লেকচারই পরীক্ষার আগের দিনের জন্য রেখে দিইনি। প্রতিদিনের পাঠ প্রতিদিনই শেষ করার চেষ্টা করেছি। এটাই আমার ভালো ফল করার কৌশল।’
সিএসই কেন? ছোট থেকেই কম্পিউটার ও রোবোটিকস নিয়ে আগ্রহ থাকায় স্নাতকেও এ বিষয় নিয়ে পড়েছেন।