
মোমো এবং ডাম্পলিং খেতে প্রায় একই হলেও এদের মধ্যে কয়েকটি পার্থক্য বিদ্যমান। যেহতু পার্থক্য বিদ্যমান সেহতু এদেরকে আর একই খাবার বলা যাচ্ছে না। জেনে নেয়া যাক কোনগুলো সেই সূক্ষ্ম পার্থক্য, যার জন্য ভিন্ন মোমো এবং ডাম্পলিং।
উৎপত্তি
মোমো হলো হিমালয় অঞ্চলের খাবার। মূলত তিব্বতেই এর সূচনা এরপর নেপাল ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বিস্তৃত এবং বিখ্যাত হয়। অন্যদিকে ডাম্পলিং হলো চায়নিজ কুইজিন। চীনে উৎপত্তি হয়ে এটি এখন ইউরোপ- আমেরিকা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
আবরণ
উভয় খাবারের আবরণ ময়দার তৈরি হলেও ময়দার ঘনত্বে বা পুরুত্বে পার্থক্য রাখা হয়। যেমন – মোমোর আবরণ ভারী হয় যেন মুখে নিলে চিবিয়ে স্বাদ গ্রহণ করা যায়। কিন্তু ডাম্পলিংয়ের আবরণ পাতলা এবং হালকা টেক্সচারের। মোমোর আবরণ শুধু ময়দার হয়ে থাকলেও ডাম্পলিংয়ের আবরণ তৈরিতে যেকোনো শস্যগুড়া এমনকি আলুও ব্যবহার করা হয়।
পুর (ফিলিং)
ডাম্পলিং রকমারি পুর দিয়ে তৈরি করা হয়। যেমন মাংস, সামুদ্রিক মাছ, টফু এবং বিভিন্ন শাকসবজি। অন্যদিকে, মোমো ঐতিহ্যগতভাবে মাংসভিত্তিক পুরে সীমাবদ্ধ থাকে। তবে নিরামিষ কিংবা চিজ দিয়ে পরিবেশনও এখন প্রচলিত।
ব্যবহৃত মসলা
ডাম্পলিংয়ে প্রায়শই সয়া সস, আদা, রসুন এবং তিলের তেলের মতো উপাদান ব্যবহার করা হয়, যা চীনা স্বাদকে পরিপূর্ণ করে। বিপরীতে, মোমোতে হিমালিয়ান মশলা যেমন জিরা, ধনে, হলুদ এবং স্থানীয় কিছু হার্বস ব্যবহার করা হয়।
ডিপিং সস
মোমোর সঙ্গে সাধারণত মশলাদার টমেটো চাটনি, পুদিনার চাটনি বা ট্যাঞ্জি দইয়ের সস দেয়া হয়। অন্যদিকে, ডাম্পলিং সাধারণত সয়া-ভিত্তিক সস, ভিনেগার, মরিচের তেল দিয়ে পরিবেশন করা হয়।
আকৃতি
মোমো বেশিরভাগ সময়ই গোলাকার কিন্ত ডাম্পলিং হয় চ্যাপ্টা আকৃতির।