1. news@www.voiceofnews.net : উৎসবের আলো : উৎসবের আলো
  2. info@www.voiceofnews.net : দৈনিক উৎসবের আলো : দৈনিক উৎসবের আলো দৈনিক উৎসবের আলো
  3. info@www.voiceofnews.net : voiceofnews.net :
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন

সংস্কার প্রস্তাব গুছিয়ে এনেছে ছয় কমিশন

ভয়েস অব নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রস্তাব তৈরির জন্য গঠন করা ১১টি কমিশনের মধ্যে প্রথমে গঠন করা ৬টি কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে। চলতি মাসের শেষ বা জানুয়ারির প্রথম দিকে সংস্কার কমিশনগুলো সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে।

অবশ্য সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলো সংস্কার প্রস্তাব জমা দেওয়ার আগেই পুরোনো আইনে পাঁচ বছরের জন্য গঠন করা হয়েছে নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জনপ্রশাসনে চুক্তিতে নিয়োগ ও রাজনৈতিক পরিচয় যাচাইয়ের পুরোনো প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এতে সংস্কারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে। কোনো কোনো সংস্কার কমিশনে অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কিছু উদ্যোগ নিয়ে উদ্বেগও আছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করার ঘোষণা দেয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন। সেগুলো হলো নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন। এই কমিশনগুলোর প্রধানদের নামও ঘোষণা করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা।

তবে কমিশনগুলো পূর্ণাঙ্গ করতে তিন সপ্তাহ সময় লেগে যায়। ৩ অক্টোবর পাঁচটি কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আর সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি হয় ৭ অক্টোবর। এই কমিশনগুলোতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব না রাখায় সমালোচনা ছিল। গঠনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনগুলোকে সরকারের কাছে তাদের সংস্কার প্রস্তাব দিতে বলা হয়।

অন্যদিকে গত ১৭ অক্টোবর আরও চারটি সংস্কার কমিশন গঠনের কথা জানায় সরকার। সেগুলো হলো স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন, শ্রমিক অধিকারবিষয়ক সংস্কার কমিশন এবং নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। তবে এই কমিশনগুলো পূর্ণাঙ্গ হতে এক মাস লেগে যায়। গত ১৮ নভেম্বর এই চারটিসহ মোট পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অন্যটি হলো স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। নতুন এই কমিশনগুলোও কাজ শুরু করেছে। এই কমিশনগুলোকে ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেদন দিতে হবে।

সংস্কারের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, প্রথমে গঠন করা ছয়টি কমিশন পুরোদমে কাজ করছে। কমিশনগুলো সংবিধান, আইন-বিধি পর্যালোচনার পাশাপাশি অংশীজনদের মতামতও নিচ্ছে। এরই মধ্যে সংস্কারের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ডিজিটাল মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়ার পাশাপাশি অংশীজনদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকেও লিখিত মতামত নেওয়া হয়েছে। সংবিধান সংস্কার বিষয়ে বিবিএসের মাধ্যমে সারা দেশে একটি জরিপ চালিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এই কমিশন সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও একটি জরিপ চালানোর চিন্তা করছে। তারা ঢাকার বাইরে কয়েকটি বিভাগীয় শহরেও নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। মতামত নেওয়ার পাশাপাশি এই দুটি কমিশন এখন পর্যন্ত যেসব মতামত পেয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে খসড়া সুপারিশ লেখার কাজও করছে। এই কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁরা সরকারের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিতে পারবেন বলে আশা করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট