1. news@www.voiceofnews.net : উৎসবের আলো : উৎসবের আলো
  2. info@www.voiceofnews.net : দৈনিক উৎসবের আলো : দৈনিক উৎসবের আলো দৈনিক উৎসবের আলো
  3. info@www.voiceofnews.net : voiceofnews.net :
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০২:২৯ অপরাহ্ন

নির্বাচনী প্রস্তুতি জামায়াতের, বৃহত্তর জোটের চেষ্টা

ভয়েস অব নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপির নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার চেষ্টায় থাকা জামায়াতে ইসলামী ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শুধু ধর্মভিত্তিক নয়, আওয়ামী লীগবিরোধী অন্যান্য দল নিয়ে বৃহত্তর জোট গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। সংসদ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারের জন্যও প্রার্থী ঠিক করা হচ্ছে। সংস্কারে জোর দিলেও এ বছরই নির্বাচন চায় দলটি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর দুই যুগের মিত্র বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় জামায়াতের। দুই দলের নেতাকর্মীরা একে অন্যের সমালোচনায় মুখর। জামায়াতকে একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা এবং ব্যাংক-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলের জন্য অভিযুক্ত করে সমালোচনা করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। ৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি, দখলবাজির জন্য বিএনপির সমালোচনায় মুখর জামায়াত নেতাকর্মীরা।

সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই
গত রোববার ময়মনসিংহের ১০, টাঙ্গাইলের ৮, জামালপুরের ৫, ফরিদপুরের ৪টি আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হয় স্থানীয়ভাবে। সোমবার প্রকাশ করা হয় কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনের ৫টিতে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম। সারাদেশে শতাধিক আসনে স্থানীয়ভাবে প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে অর্থাৎ এখন থেকেই ভোটের প্রচার শুরু করতে প্রার্থীদের বলা হয়েছে দলীয়ভাবে।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সমকালকে বলেছেন, সাংগঠনিকভাবে স্থানীয় পর্যায়ে প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত নয়। নির্বাচন যখন হবে, তখনকার বাস্তবতায় প্রার্থী চূড়ান্ত হবে। স্থানীয়ভাবে যাদের বাছাই করা হয়েছে, তারা প্রস্তুতি চালিয়ে যাবেন, এতে অসুবিধা নেই।

জামায়াত নেতাদের ভাষ্য, আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হওয়ায় আগামী নির্বাচনে ভালো করার সুযোগ রয়েছে। তা কাজে লাগাতে দলের বিস্তারের চেষ্টা চলছে। জাতীয় ও স্থানীয় সব নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী ঠিক করে কর্মী-সমর্থক সংগ্রহে জোর দেওয়া হচ্ছে। গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুরের মতো জেলায়, যেখানে জামায়াতের নির্বাচনী সাফল্য নেই, সেখানেও প্রার্থী আগাম ঠিক করা হয়েছে।

জামায়াত দলীয় রুকন (সদস্য) না হলে নির্বাচনে প্রার্থী করে না। দলের বিস্তার এবং আগামী সংসদে এমপি বাড়াতে এ নিয়ম এবার বদলাতে পারে। দলটির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা সমকালকে বলেছেন, দলের বাইরে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির সন্ধান চলছে। আগ্রহী হলে বাইরে থেকেও প্রার্থী দেওয়া হবে। ডিসেম্বরে সাক্ষাৎকারে সমকালকে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান জানিয়েছিলেন, এমন ভাবনা রয়েছে।

বৃহত্তর জোটের চেষ্টা
সাংগঠনিক শক্তি ও বিস্তৃতিতে এগিয়ে থাকা বিএনপির সঙ্গে পাল্লা দিতে জোট করার চেষ্টা চালাচ্ছে জামায়াত। গত ২১ জানুয়ারি বরিশালের চরমোনাইয়ে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করেন জামায়াত আমির। দীর্ঘদিন ধরে আদর্শিক বিরোধ থাকলেও দুই নেতা আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর ঐক্যের কথা বলেন। দুই দলের শীর্ষ নেতাদের এ সাক্ষাৎ রাজনীতিতে আলোচনা তৈরি করে। তবে এটাকে ছাপিয়ে যায় ২৬ জানুয়ারি ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে গিয়ে চরমোনাই পীরের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাক্ষাৎ। তাদের যৌথ স্বাক্ষরে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন ন্যূনতম সংস্কারের পর দ্রুত নির্বাচনসহ ১০ দফা ঘোষণা করে।

তবে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলী আশরাফ আকন সমকালকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হলেও ইসলামী দলগুলোর ভোট আগামী নির্বাচনে এক বাক্সে আনা তথা ঐক্যের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

গত রোববার মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে যান ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে দুই দলের নেতারা আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর ঐক্যের বিষয়ে একমত হন। এই বৈঠকের পর মামুনুল হকের সঙ্গে দেখা করেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল। খেলাফতের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন সমকালকে বলেছেন, জামায়াতের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছিলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। ইসলামী দলগুলোর জোটের প্রচেষ্টা চলছে, তা হবে ইনশাআল্লাহ।

কওমি মাদ্রাসা ঘরানার ছয়টি নিবন্ধিত দলের দুটি ইসলামী ঐক্যজোট এবং খেলাফত আন্দোলন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ছিল। এই দুটিকে বাদ দিয়ে ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস জোট করতে চেয়েছিল এখনও নিবন্ধন ফিরে না পাওয়া জামায়াতকে নিয়ে। জামায়াতের সঙ্গে এক দফা বৈঠক করা খেলাফত মজলিস গত মাসে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত নির্বাচনসহ সাত দফায় ঐকমত্য জানিয়েছে।

জামায়াত এবং অন্য দলের নেতারা জানিয়েছেন, শুধু ধর্মভিত্তিক দল নয়, আওয়ামী লীগবিরোধী ছিল এমন মধ্যপন্থি দলগুলোকেও জোটে আনার চেষ্টা রয়েছে। ‘ইসলামপন্থিদের উত্থান’ হিসেবে যাতে তকমা দিতে না পারে, সেজন্যই এ কৌশল। গোলাম পরওয়ার বলেছেন, শুধু ইসলামী দল নয়, সবার সঙ্গেই কথা হচ্ছে। আবার সবাই সবার কথা বলছে। নির্বাচনের সময় যে মেরূকরণ হবে, জোট তার ওপর নির্ভর করবে। কে কার সঙ্গে থাকবে, তাও পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। বিএনপির সঙ্গেও কথা হচ্ছে কিনা– এ প্রশ্নে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন, ‘সব কিছু তো প্রকাশ্যে হয় না’।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট