প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ২২, ২০২৫, ৬:৩৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারী ২২, ২০২৫, ৪:৫২ এ.এম
সাঁওতালদের জমি দখল ও অগ্নিসংযোগে জড়িতদের শাস্তির দাবি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের জমি দখল ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) মাথায় আদিবাসীদের জমিতে ইপিজেড করার ভূত চেপেছে। এটি কখনই সম্ভব নয়। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ১৭টি ভূমি ও মানবাধিকার সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন এএলআরডির ম্যানেজার রফিক আহমেদ সিরাজী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, লেখক-গবেষক পাভেল পার্থ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, ব্লাস্টের আইন উপদেষ্টা এসএম রেজাউল করিম, কাপেং ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক হিরন মিত্র চাকমা প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের বাগদা ফার্মের সাঁওতাল পল্লীতে আক্রমণের কারণে পুলিশের ওপর আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। আস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। অবিলম্বে সকল আসামিকে প্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলা হয়, ‘প্রশাসনের প্রতি আদিবাসীদের যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে, তা থেকে মুক্তি ও তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে দৃশ্যমান কিছু ফলাফল দেখাতে হবে। আদিবাসীদের ভূমির সমস্যা সমাধানের জন্য ভূমি প্রশাসন থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
এ ছাড়া গাইবান্দার জেলা প্রশাসক প্রতিনিধি দলের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং আদিবাসী বিদ্বেষী মন্তব্য করায় তার অপসরণের দাবিও জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, রাজাহার ইউনিয়রন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে রফিকুল ইসলামকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করতে হবে। সাঁওতালদের পৈতৃক জমি চেয়ারম্যান থেকে উদ্ধার করে সাওতালদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
চেয়ারম্যানের অবৈধ দখলে রাখা খাস পুকুর উদ্ধার করে সাঁওতাল আদিবাসীদের লিজ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সাঁওতাল আদিবাসীদের কবরস্থান উদ্ধার করে তাদের ফিরিয়া দিয়ে কবর স্থান রক্ষণাবেক্ষণে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক স্থায়ী দেয়াল নির্মাণ করতে হবে। গাইবান্ধার বর্তমান জেলা প্রশাসক আদিবাসীদের প্রতি যে বিদ্বেষমূলক আচরণ ও ক্ষমতার দম্ভ প্রদর্শন এবং রাষ্ট্রীয় নীতির তোয়াক্কা না করে ৪ ফসলি জমিতে ইপিজেড করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন এজন্য অবিলম্বে তাকে অপসারণ করতে হবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত